থাইল্যান্ডের একটি মাছ ধরা নৌকায় গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। শনিবারের (৩০ নভেম্বর) এই ঘটনায় এক জেলে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া ৩১ জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র থানাটিপ সাওয়াংসাং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৫টি মাছ ধরার নৌকার দুটি মিয়ানমারের জলসীমার ৪ থেকে ৫ দশমিক ৭ নটিক্যাল মাইল ভেতর চলে যায়। তখন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।
এই ঘটনায় তিনজন জেলে পানিতে ঝাঁপ দিলে একজন ডুবে মারা যান। বাকি দুজনকে থাই নৌবাহিনী উদ্ধার করে বলে জানান থানাটিপ।
একটি নৌকায় থাকা ৩১ জন জেলেকে মিয়ানমার নৌবাহিনী আটক করে। তাদের মুক্তি নিশ্চিত করতে থাই নৌবাহিনী আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে থানাটিপ তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কোনও মন্তব্য করেনি।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোর্নডেজ বালানকুরা বলেছেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আটক জেলেদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া, কোনও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কিনা সেটাও যাচাই চলছে।
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রানং প্রদেশের সমুদ্রসীমা খুবই নিকটবর্তী। সেজন্য রানং মৎস্য বিভাগ মাছ ধরার নৌযানগুলোকে সীমানার কাছে চলাচলের সময় বাড়তি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে সংকটে রয়েছে দেশটি। এতে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা হয়।
বিদ্রোহীরা সীমান্ত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আগের তুলনায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। দেশের শান্তিপূর্ণ অভ্যন্তরীণ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে তারা।
এদিকে, গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, স্থানীয় গণমাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে স্থলসীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির খবরকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হচ্ছে। যেসব এলাকায় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
পাঠকের মতামত